ভাল প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য প্রতিদিন কোড লেখা ছাড়া আর কোন কোন জিনিস রোজ অনুশীলনের দরকার পড়ে?

ভাল প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য প্রতিদিন কোড লেখা ছাড়া আর কোন কোন জিনিস রোজ অনুশীলনের দরকার পড়ে?
আপনি য’দি ইতিমধ্যেই কোড-এর মাধ্যমে চিন্তা করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়ে থাকেন— যা অতি অভিজ্ঞ, দক্ষ অবস্থায় হয়ে থাকে— তাহলে ঠিক আছে, প্রতিদিন কোড লিখে চর্চা এগিয়ে নিয়ে চলুন।

অন্যথায়, প্রথমেই কিন্তু প্রতিদিন কোড লিখতে বলবো না। প্রথম লক্ষ্য হবে কোড-এর ভাষায়, মানে যে প্রোগ্রামিং ভাষাটি ব্যবহার করবেন সেই ভাষায় চিন্তা করতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা। কীভাবে?

Algorithm study-র মাধ্যমে। এক একটি সমস্যা নিয়ে, তার সমাধানের জন্য ইংরেজিতে কিম্বা নিজের মাতৃভাষাতেই নির্দেশমালা ( Algorithm, Instruction set) সাজিয়ে নিন। মানে কোন কোন নির্দেশ ঠিক কোন ক্রম অনুযায়ী লিখলে প্রয়োজনীয় সমাধান পাওয়া যেতে পারে তা লিপিবদ্ধ করুন।

একটি সমস্যার সমাধান তো একাধিক পথেও পাওয়া যেতে পারে। য’দি ধৈর্য্য মানে, বিকল্প নির্দেশমালাও খোঁজার চেষ্টা করুন। লিখুন। পরে মিলিয়ে দেখে নেবেন কোন পথটি কতটা কার্যকরী। কারণ, প্রোগ্রামারের মূল লক্ষ্য হল কম্পিউটার যন্ত্রকে দিয়ে যথাসাধ্য মসৃণ ভাবে কাজ করিয়ে নেওয়া।

প্রতি নির্দেশমালার প্রতিটি নির্দেশ/পংক্তি কেন লিখছি, তা কী কাজ করছে নির্দ্বিধায় বুঝে নিন।

এর পর আসে কোড লেখা। অর্থাৎ, কম্পিউটার প্রোগামিং-এর নির্দিষ্ট কোনো ভাষায় নির্দেশমালাটি অনুবাদ করতে শেখা। এই অনুবাদ করতে করতে এক সময় সরাসরি কোডিং-এর ভাষাতেই ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। তবে মনে রাখবেন, অ্যালগরিদম্ হল কোডিং-এর প্রাণ।

এবার উত্তরের অন্যান্য অংশে আসি।

যখনই কোনো প্রোগ্রাম পাবেন, বা প্রোগ্রাম-যোগ্য সমস্যা দেখবেন, তার সমাধানের জন্য উপযুক্ত নির্দেশমালা ভাবুন। তারপর সম্ভব মতো কোডিং করে কম্পিউটারে পরীক্ষা করে দেখুন।

কোনো কোডিং দেখলেই ব্যবহৃত data structure লক্ষ্য করুন।

প্রোগ্রাম চালাবার পূর্বেই কোডিং দেখে আন্দাজ করার চেষ্টা করুন কম্পিউটার কী ফলাফল দিতে পারে।

প্রোগ্রামিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারিক জীবনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। মানে সমস্যা নিজে সাজিয়ে নিয়ে সমাধান বানান।

কম্পিউটারের কার্যকলাপের গভীরতর বিশ্লেষণ করা শিখতে থাকুন। High level থেকে Machine level-এর জ্ঞানের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হতে থাকুন। অধিকাংশ ব্যক্তির জন্যই এই শেষ ধাপটি নিষ্প্রয়োজন পরিশ্রম। তবে প্রোগ্রামার হিসাবে কম্পিউটারের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইলে বিকল্প পথ নেই।